শীতের সকালে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরের এক গ্রামের ছবি, যেখানে মোরগের ডাক শুনতে পাওয়া যায়, গুড় তৈরী, ধান ঝাড়ার কাজ দেখতে পাওয়া যায়

মোরগের ডাকেই ধীরে ধীরে প্রাণ ফিরে পায় গ্রাম। এক নির্মল সকালের শুরু হয় সেখান থেকেই। শীতের সকাল। তাই আগুন ভালোই লাগবে। তবে সেই আগুন যদি হয় খেজুর রস জাল দেবার, তাহলেতো কথাই নেই। সে গল্পটাও শোনাবো একদিন। 

মুকুটমণিপুরে সকালবেলার গ্রাম ঘুরে দেখবো বলেই বেরিয়ে পড়েছিলাম। যেখানে গাছের ফাঁক দিয়ে সূর্য উঁকি দিচ্ছে। ধীরে ধীরে বাড়ছে সকাল আর ধীরে ধীরে প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে গ্রাম। 

শীতের প্রধান আকর্ষণ পিকনিক। মাঠে জমতে শুরু করেছে পিকনিকের গাড়ি। আমি হাঁটতে শুরু করেছি গ্রাম ঘুরে দেখবো বলে। 

অবশেষে এক গ্রামের কাছাকাছি এসে পৌঁছালাম। গ্রামের মানুষ তার চায়ের দোকান খুলতে শুরু করেছেন। উনুনে আগুন দেওয়াও হয়ে গেছে। দোকানে দোকানে চায়ের খদ্দের জমতে শুরু করেছে। 

পায়ে পায়ে চলে এসেছি গ্রামের ভিতর। হালকা আগুনে গা গরম করছেন গ্রামের এক বয়স্ক মহিলা। এই সময় ধান ঝাড়ার কাজ চলছে গ্রামের প্রায় প্রতিটা বাড়িতেই। গ্রামের ভিতর কান পাতলেই শোনা যায় ধান ঝাড়ার মেশিনের শব্দ। চলছে ধান ঝাড়ার কাজ। সেই গল্পও শোনাবো একদিন। 

সূর্য আস্তে আস্তে গাছের মাথায় উঠছে। আমাকেও ফিরতে হবে। ভালো থাকবেন। 


মন্তব্যসমূহ