এই তারিখে
গুয়ে মঠ
বৌদ্ধ ধর্মের প্রাচীন ইতিহাস
লাহুল-স্পিটি
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
গ্রামের সৌন্দর্য নিয়ে কবিতা লিখেছেন বহু কবি। গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্য বর্ণনা করেছেন বহু লেখক। আমরা যারা সাধারণ মানুষ ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসি, তারাও আজকাল সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে রচনা লিখে ফেলতে পারি।
আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি কোনায়। তাই দ্রুত বদলে যাচ্ছে পৃথিবী। বদলে যাচ্ছে গ্রাম-গঞ্জ-শহর। আধুনিকতার ছোঁয়ায় নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। অথচ আমরা প্রচুর মানুষ আছি যারা আজও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা গ্রাম্য পরিবেশ দেখতে বেশি পছন্দ করি।
গ্ৰাম্য পরিবেশ বলতে শুধু পাহাড়ি গ্রাম বা জঙ্গলের ভিতরে আদিবাসী গ্রাম নয়। আমাদের ভারতবর্ষ কৃষি প্রধান দেশ। তাই আমাদের শহরের আশেপাশেও আছে এমন সব গ্রাম যেখানে প্রকৃতি তার সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে। অবসর সময় সেইসব জায়গায় ঘুরে আসতে পারি আমরা।
ইন্টারনেট-এর যুগে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা গ্রাম খুঁজে পাওয়া খুব একটা কঠিন কাজ নয়। চায়ের দোকানে বসে কোনো নেতার কেচ্ছা ঘাঁটার থেকেও সহজ। সোশ্যাল মিডিয়া-তে গ্রামের প্রচুর ছবি পোস্ট হয়। যারা গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারাই করেন অথবা গ্রামের মানুষ নিজেরাই তাদের গ্রামের ছবি পোস্ট করেন মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে।
এছাড়াও আছে গুগল ম্যাপ। সার্চ করুন কোনো একটা জায়গার নাম দিয়ে। যেটা শহর থেকে একটু দূরে। নয়তো কোনো ট্রেন রুট সার্চ করুন। তারপর গুগল ম্যাপের স্যাটেলাইট অপশনে যান। সেখানেই ভালো করে দেখতে পাবেন গ্রাম্য পরিবেশ। কোথায় ধানজমি, কোথায় জঙ্গল, কোথায় নদী বা খাল, সব বুঝতে পারবেন।
একদম অল্প খরচেই আমরা গ্রাম ভ্রমণ করতে পারি। পকেটে ৪০-৫০ টাকা থাকলেই আজকাল গ্রামের পরিবেশ ঘুরে বাড়ি ফেরা যায়। সঙ্গে ক্যামেরা বন্দি করে নেওয়া যায় গ্রামের প্রচুর ছবি। যেগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার জন্য প্রচুর লাইক এনে দেবে। কোনো ফোটোগ্রাফি কনটেস্ট সাইট-এও এনে দিতে পারে আপনার ভালো পরিচিতি।
গ্রাম ভ্রমণের শুরুতেই বেছে নিতে হবে আপনার কাছাকছি কোনো গ্রাম, যেটা ট্রেনে করে যাবার সুবিধা আছে। সাধারণত বেশির ভাগ গ্রাম রেল পথের সাথেই যুক্ত বা তার থেকে কিছুটা দূরে। প্রথমেই বেছে নিতে পারেন রেল পথের আশেপাশের কোনো গ্রাম। ১০ থেকে ১৫ টাকার টিকিটেই পৌঁছে যেতে পারেন সেই সব গ্রাম, যেখানে রয়েছে অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতা দূর করার জন্য গ্রাম ভ্রমণ করা উচিত। যাদের সুগার জনিত সমস্যা আছে তাদের হাঁটা খুব দরকার। জিম করলে অনেক খরচ, কষ্ট বেশি, উপকারিতা গ্রাম ভ্রমণের থেকে অনেকটাই কম, আর খরচ সামলানো সবার দ্বারা সম্ভব নয়। তাই গ্ৰাম্য পরিবেশে ফাঁকা রাস্তায় বিশুদ্ধ হাওয়া বাতাসে হাঁটতে পারেন। গ্রামের শান্ত পরিবেশ, গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা, তাদের সাথে কথাবার্তা আপনার মানসিক ক্লান্তি অনেকটাই দূর করে দেবে এটা হলপ করে বলতে পারি।
যারা ফোটোগ্রাফি করেন তাদের জন্যতো বেস্ট জায়গা। কম খরচে প্রচুর ভালো সাবজেক্ট পাওয়া যায় গ্রামে। গ্রামের জীবনযাত্রার বা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবি সবথেকে বেশি পছন্দ করে গোটা পৃথিবী মানুষ।
গ্রাম ভ্রমণে যাবার সময় মোবাইল ফুল চার্জ করে নেবেন। কারণ গুগল ম্যাপ সবচেয়ে বেশি দরকার। তাহলে যেদিকে খুশি চলে যেতে পারেন।
সঙ্গে রাখবেন বেশ কিছুটা সময়। কারণ গ্রামের পরিবেশ দেখতে দেখতে কতটা দূরে চলে যাবেন বুঝতেই পারবেন না।
সঙ্গে রাখবেন কিছু শুকনো খাবার আর জল। এটা শরীর ঠিক রাখতে কাজে লাগবে।
আর যেটা সঙ্গে রাখবেন সেটা হলো ভালো মানসিকতা। মুখে রাখবেন হাসি। যেটা দিয়ে দুম করে মানুষের সাথে মিশে যেতে পারেন। গ্রামের মানুষ প্রচন্ড হেল্পফুল। ওরা দারুন উপকারে আসে আপনার আমার গ্রাম ভ্রমণে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন