এই তারিখে
গুয়ে মঠ
বৌদ্ধ ধর্মের প্রাচীন ইতিহাস
লাহুল-স্পিটি
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
চন্দননগর জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখার আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে মানুষের মধ্যে। ভিড় বাড়ছে প্রতি বছর। কলকাতায় দূর্গা ঠাকুর দেখার মতোই পুজো শুরু হবার আগে থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে ঠাকুর দেখার ভিড়। সত্যি কথা বলতে কি, চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা অসাধারণ হয়। একদম জীবন্ত এবং প্রাণবন্ত। বিশাল বিশাল ঠাকুর তৈরী হয় প্রতিটা প্যান্ডেলে। প্যান্ডেলের কারুকার্যও অসাধারণ। চন্দননগরের লাইটিংও আলাদা নজর কাড়ে। কিন্তু কিভাবে ভিড় এড়িয়ে সুন্দরভাবে ভালো ভালো ঠাকুর দেখবেন সেটাও জানা দরকার। নয়তো ভালো ঠাকুর বা কিছু ভালো প্যান্ডেল আপনার জানো এড়িয়ে যেতে পারে।
চন্দননগর জগদ্ধাত্রী ঠাকুর মানেই বেশিরভাগ মানুষ শুধু চন্দননগরকেই বোঝে। আর চন্দননগর থেকেই শুরু করে ঠাকুর দেখা। কিন্তু সেটা করলে অনেক ভালো ঠাকুর মিস হয়ে যেতে পারে আপনার। সঠিক জায়গা থেকে শুরু করলে মন ভোরে যাবে আপনার ঠাকুর দেখে।
এবার বলি কিভাবে এবং কোথা থেকে শুরু করবেন জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখা। হাওড়া থেকে ট্রেন ধরুন বান্ডেল লোকাল বা বর্ধমান মেন্ লাইনের। জানালার ধারের একটা বসার জায়গা দেখে বসে যান আর নিজেকে প্রস্তুত করুন লম্বা হাঁটার জন্য।
ট্রেন থেকে নেমে পড়ুন চন্দননগরের আগের স্টেশন মানকুণ্ডুতে। হাওড়া থেকে মানকুণ্ডুর ট্রেন ভাড়া ১০ টাকা। স্টেশন-এ নেমে লাইন ক্রস করে ১নম্বর প্লাটফর্মে চলে যান। একদম সামনের দিক দিয়ে বেরিয়ে দেখবেন একটা রাস্তা ডানদিকে আর একটা রাস্তা বামদিকে চলে গেছে। আপনি ডানদিকে হাঁটতে থাকুন। ডানদিকে হাঁটার শুরুতেই দেখতে পাবেন মানকুণ্ডু সার্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজোর লাইটিং। শুরু করুন এখন থেকেই। বেশ ভালো পুজো এই মানকুণ্ডু সার্বজনীন। প্যান্ডেল থেকে বেরিয়ে বামদিকের সোজা হাঁটতে থাকুন। রাস্তার দুপাশে পেয়ে যাবেন প্রচুর ভালো ভালো জগদ্ধাত্রী পুজোর প্যান্ডেল। যেমন নতুন পাড়া, নিয়োগী বাগান, বালক সংঘ, সুভাষ সংঘ, আদি মহাডাঙ্গা এবং মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত ৩ নম্বর মহাডাঙ্গা ইত্যাদি।
মহাডাঙ্গার ঠাকুর দেখে একটু এগিয়ে বেরিয়ে পড়ুন জি টি রোড-এ। এই জি টি রোডের দুপাশে পেয়ে যাবেন প্রচুর ভালো ভালো ঠাকুর। তার মধ্যে আছে লিচু তলা, রথের সড়ক, মধ্যাঞ্চল ইত্যাদি। তবে পুজোর সময় এই রাস্তা প্রচন্ড জ্যাম থাকে। সমস্তটাই ঠাকুর দেখার জন্য। সমস্তটাই টোটো আর প্রাইভেট গাড়ির। আর এই ভিড়টা ষষ্ঠীর সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায়। সব ঠাকুর ঘুরে দেখা সম্ভব না। তাই জি টি রোড ধরে চন্দননগর রেলওয়ে স্টেশনের দিকেই এগোতে থাকুন। আর রাস্তার দুপাশে ঠাকুর দেখতে থাকুন।
এবার বলি তাদের কথা যারা চন্দননগরের ঠাকুর দেখার ইচ্ছা রাখেন অথচ ভিড় পছন্দ করেন না আর বেশি হাঁটতে চান না। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা সবগুলোই বিশাল আর প্রায় একই রকম। প্রতিটা ঠাকুর জীবন্ত আর প্রাণবন্ত। এটাই প্রতিটা ঠাকুরের বিশেষত্ব। ইচ্ছা থাকলে এবার অন্তত একটা জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখে আসুন। একটা ভালো ঠাকুর আছে, যেটা দেখলে মন ভোরে যাবে। বেশি হাঁটতে হবে না। চন্দননগর রেলওয়ে স্টেশনের কাছেই ফটোকগোড়া। প্রতিমা দেখলে মন ভোরে যাবে। সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ুন আর টুক করে দেখে পালিয়ে আসুন ভিড় বাড়ার আগেই। এবারের পুজোর ভিডিও লিংক দিলাম। ভিডিও দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন