এই তারিখে
গুয়ে মঠ
বৌদ্ধ ধর্মের প্রাচীন ইতিহাস
লাহুল-স্পিটি
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
গ্রীষ্মের তাপ থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই এই সময়টায় পাহাড়ি এলাকায় বেড়াতে যেতে পছন্দ করেন। আর সেই কারণেই এই সময়টা দার্জিলিং বা সিকিম খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু কেন? কেন বারবার সিকিম ছুটে যাওয়া? শুধুই কি গরমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া নাকি অন্য কিছু? কেন করবো সিকিম ভ্রমণ?
সিকিম উত্তর-পূর্ব ভারতে অবস্থিত একটি সুন্দর রাজ্য, যা তার অত্যাশ্চর্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, রাজকীয় হিমালয় পর্বত, প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং প্রাণবন্ত সংস্কৃতির জন্য পরিচিত। সিকিম দেখার অনেক কারণ আছে, যেমন:
প্রথমত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: সিকিম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আশীর্বাদপুষ্ট, যার মধ্যে রয়েছে তুষারাবৃত পর্বতমালা, সবুজ উপত্যকা, আদিম হ্রদ এবং জলপ্রপাত। এটি প্রকৃতি প্রেমী এবং অ্যাডভেঞ্চার উত্সাহীদের জন্য একটি স্বর্গ।
সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য: সিকিমের একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে এবং স্থানীয়রা তাদের উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য পরিচিত। রাজ্যটিতে তিব্বতি, নেপালি এবং ভারতীয় সংস্কৃতির একটি অনন্য সংমিশ্রণ রয়েছে, যা এটিকে বিভিন্ন ঐতিহ্য অন্বেষণ করার জন্য একটি চমৎকার জায়গা করে তুলেছে।
অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস: সিকিম ট্রেকিং, রাফটিং, প্যারাগ্লাইডিং এবং পর্বতারোহণের মতো অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস কার্যকলাপের একটি পরিসর তৈরী করে। রাজ্যটি বিশ্বের তৃতীয়-সর্বোচ্চ শৃঙ্গ, মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘার আবাসস্থল, যা পর্বতারোহীদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য।
খাদ্য: সিকিমে ঐতিহ্যবাহী নেপালি, তিব্বতি এবং সিকিমিজ খাবার সহ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার রয়েছে। রাজ্যটি স্থানীয়ভাবে উত্পাদিত জৈব চা এবং ফলের জন্যও বিখ্যাত।
সামগ্রিকভাবে, সিকিম বেড়াতে যাবার জন্য এমন একটা জায়গা যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। অ্যাডভেঞ্চার এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ পছন্দ করে এমন যেকোন ব্যক্তির জন্য সিকিম অবশ্যই দেখার মতো জায়গা।
কি কি দেখবেন সিকিমে ?
সিকিমের সবথেকে জনপ্রিয় জায়গা য়ুমথাং এবং গুরুদংমার। এছাড়া আরো প্রচুর জায়গা আছে, যেখানকার সৌন্দর্য কোনো অংশে কম নয়। যার মধ্যে আছে গাংটোক শহর, লাচুং, নামচি, নাথুলা, রুমটেক, কঞ্চেনজঙ্ঘা ন্যাশনাল পার্ক প্রভৃতি।
আকাশ পথে যেতে হলে যেতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি বা বাগডোগড়া এয়ারপোর্ট। সিকিমের কোনও এয়ারপোর্ট নেই এবং এই দুটি এয়ারপোর্ট সিকিমের নিকটবর্তী শহরে অবস্থিত।
এয়ারপোর্ট থেকে আপনি একটি ট্যাক্সি ভাড়া করে সিকিমের প্রধান শহর গঙ্গটোকে যেতে পারেন। এটি প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।
এছাড়া ট্রেন-এ করে চলে যেতে পারেন নিউজলপাইগুড়ি (NJP)। সেখান থেকে যাবার অনেক ব্যবস্থা আছে। তবে নিউজলপাইগুড়ি নামলেই আপনাকে ট্রাভেল এজেন্ট আপনাকে আনাকোন্ডার মতো পেঁচিয়ে ধরবে। যেটা ছাড়ানো খুব চাপের।
নিউজলপাইগুড়ি থেকে সোজাসুজি বাস পাবেন গ্যাংটকের (সরকারি এবং বেসরকারি)। নয়তো প্রাইভেট গাড়িও নিতে পারেন।
সিকিমে ভ্রমণের জন্য ঠান্ডার উপযোগী পোশাক এবং কমপক্ষে দুটি জুতা নিয়ে যাওয়া উচিত। আপনি সিকিম গিয়ে সিকিম পর্যটন বিভাগের বিভিন্ন প্যাকেজ ট্যুর নিয়ে ঘুরতে পারেন অথবা আপনি একটি ট্যুর অপারেটরের সাথে ভ্রমণ বুক করতে পারেন।
সিকিমে ভ্রমণের জন্য সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাস সবচেয়ে ভাল সময়। এই সময় বৃষ্টির সমস্যা থাকে না। যার ফলে খুব ভালো উপভোগ করা যায় বরফাবৃত পাহাড় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। তবে গরমেও সিমিক দারুন সুন্দর। প্রায় সারা বছরই সিকিম ঘুরতে যাওয়া যায়। তবে বর্ষাকালে সেখানে না যাওয়াই ভালো। পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচার ধস নামে বৃষ্টিতে। সেই সময় সেখানে আটকে পড়ার সম্ভবনা থাকে। এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। তাই বর্ষাকাল বাদ দিয়ে যেকোনো সময় চলে যেতে পারেন।
সিকিমে আপনি অনেক স্থানীয় বাজার পাবেন যেখানে সিকিমের আদর্শ কাপড় ও সুবিধাজনক বস্তুসমূহ কিনতে পারেন।
মোটের উপর সাধ্যের মধ্যে খরচ করে এক অপরূপ সুন্দর বেড়ানোর জায়গা সিকিম। সিকিমে বেড়াতে যাবার অনেক জায়গা আছে। একঘেয়ে জীবন থেকে রেহাই পেতে মাঝে মধ্যে বেরিয়ে পড়তে পারেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন